যে সহে, সে রহে।

নবম-দশম শ্রেণি (মাধ্যমিক ২০২৫) - বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি (নতুন সংস্করণ) ভাব-সম্প্রসারণ | - | NCTB BOOK
247
247

যে সহে, সে রহে।

ভাব-সম্প্রসারণ: এ সংসারে দুঃসময়ে যে ধৈর্য ধরে, ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে সুসময়ের অপেক্ষা করে, সে কখনো পরাজিত হয় না। ধৈর্যশীলরাই জীবন-যুদ্ধে জয়ী হয়।

পৃথিবীতে জীবন একদিকে যেমন পরম উপভোগ্য, অন্যদিকে পরাজয়, লাঞ্ছনা, হতাশা ও দুর্দশার কশাঘাতে জর্জরিত। রোগ-শোক ও অভাব-অভিযোগ সংসারের নিত্যদিনের চিত্র। তাই পীড়িত মানুষ যন্ত্রণায় অসহায়বোধ করে, আঘাতে-অপমানে জর্জরিত হয়, পরাজয়ের গ্লানিতে নিমগ্ন হয়ে হতাশায় মুষড়ে পড়ে। কিন্তু ভেঙে পড়লে চলবে না। খারাপ সময়কে মোকাবেলা করতে হবে। জীবনে পরাজয় থাকে। সে পরাজয় মেনে নিয়ে পরবর্তী যুদ্ধজয়ের সংকল্পে ব্রতী হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। এজন্য দরকার অটল ধৈর্য, স্থির সংকল্প এবং যথাযথ পরিকল্পনা। এমন কিছু আঘাত আছে, যার বিপরীতে প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে ধৈর্য ধরলেই ভালো ফল পাওয়া যায়। কারণ, সময় সবচেয়ে বড়ো চিকিৎসক। নিজের করা ভুলেও সব পরিকল্পনা ভেঙে যেতে পারে, অযোগ্যতার দায়ে ভোগ করতে হতে পারে কঠিন দণ্ড। তখন ভেঙে না পড়ে ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে। নতুন প্রতিশ্রুতি নিয়ে সবকিছু শুরু করতে হবে। তাহলেই মোচন করা সম্ভব হবে পূর্বের গ্লানি। বিপদে অসহায়ত্বকে বরণ করে হাত-পা গুটিয়ে থাকার মধ্যে নয়, তাকে মোকাবিলা করার মধ্যেই মানুষের সংগ্রামশীলতার পরিচয়।

জীবনে যত প্রতিকূলতাই আসুক না কেন, তাকে ধৈর্যের সঙ্গে ইতিবাচক দৃষ্টি দিয়ে মোকাবেলা করতে হয়। কারণ, জীবনে দুঃসময় না এলে লড়াই করা শেখা যায় না।

Content added By
Promotion